জাতীয়

মার্চে জ্বালানি তেলের দামে স্বয়ংক্রিয় সমন্বয় চালু হবে

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহে জ্বালানি তেলের দামে স্বয়ংক্রিয় সমন্বয় চালু হবে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এরপর প্রতি মাসে এটি সমন্বয় হবে। পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের জন্য স্বয়ংক্রিয় দাম নির্ধারণের একই প্রক্রিয়া শুরু হবে।

করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে জ্বালানি আমদানিতে ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার অতিরিক্ত খরচ করতে হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, একসময় আমদানি কমিয়ে লোডশেডিং দিতে হয়েছে। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে গোলযোগ শুরু হলে পরিস্থিতি অন্যদিকে যেতে পারে।

তিনি বলেন, এবার গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ চাহিদা ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ছাড়াতে পারে। বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রস্তুত আছে। জ্বালানি (তেল, গ্যাস ও কয়লা) সরবরাহের প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি দিতে পারলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়া যাবে।

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে অর্থের জোগান একটা বড় বিষয়। এ মাসের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ মোটামুটি একটা জায়গায় আসবে। প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, আগামী সপ্তাহে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে।

গ্যাস সংকটের বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, গ্যাসের দাম বাড়াতে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। দাম বাড়ানো বা কমানো নয়, এটা নিয়মিত সমন্বয় করা হবে। দু-এক দিনের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণে থাকা ভাসমান টার্মিনালটি চালু হলে গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে। তবে ১৮ জানুয়ারি আরেকটি টার্মিনাল রক্ষণাবেক্ষণে যাবে, এটা আবার ফিরবে মার্চের প্রথম সপ্তাহে।

এসময় প্রতিমন্ত্রী দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে বলেন, ৪৬টি কূপ খননের যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, সেটি আগামী ২০২৫ সালের মধ্যেই শেষ হবে। এতে দেশে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে। নতুন করে আরো ১০০ কূপ খননের পরিকল্পনাও নেয়া হচ্ছে। পেট্রোবাংলা আগামী ৫০ বছরের গ্যাস উত্তোলন, সরবরাহ সংক্রান্ত মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।