জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের আহবায়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেছেন, বাংলাদেশে কেনো পৃথিবীর কোনো স্বৈরশাসকই ক্ষমতায় দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেনি। শেখ হাসিনাও পারবে না। অবিলম্বে ডামি সংসদ বাতিল করে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। তিনি বলেন, জনগণই ক্ষমতার উৎস। কিন্তু বর্তমান সরকারের ক্ষমতার উৎস জনগণ নয়, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজে বলেছেন- ভারত এ সরকারকে ক্ষমতায় আসতে সহযোগিতা করেছে। এতে তারাই প্রমাণ করেছে জনগণ তাদের ক্ষমতার উৎস নয়। আমরা জনগণের রাজনীতি করি, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র নয়, জনগণই আমাদের ক্ষমতার উৎস।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবৈধ সংসদ বাতিলসহ এক দফা দাবীতে কালো পতাকা মিছিল পরবর্তী এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর মোড় ঘুরে পুনরায় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে কালো পতাকা মিছিলের সমাপ্তি হয়।
ফরহাদ বলেন, সরকার একতরফা নির্বাচন করে অবৈধ ক্ষমতা আরো দীর্ঘায়িত করতে দেশকে বিরোধীদল শূন্য করতে চায়। তারই অংশ হিসেবে কোনো সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকেও তারা হুমকি মনে করছে। এভাবে দমন-পীড়ন করে সাময়িক টিকে থাকা যায়, কিন্তু ভালো ফলাফল আনে না। আপনারা (সরকার) পৃথিবীর অন্যান্য স্বৈরশাসকের দিকে তাকান। দেখুন তাদের কি পরিণতি হয়েছিলো। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।
পতাকা মিছিলে এনপিপি মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন শিল্পী, গণদলের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, নগর সভাপতি সাঈদ খোকন, সাম্যবাদী দলের সাধারণত সম্পাদক কমরেড ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী, যুগ্মমহাসচিব মো. আমজাদ হোসেন ঢালী, বিকল্পধারার মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, জনতা অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম, মহাসচিব রাজা মিয়া, এনপিপির বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট শেখ ফরিদ, জাগপা নগর নেতা হোসেন মোবারক শাহীনসহ সমমনা জোটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।