প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেছেন, সিভিল-মিলিটারি অনেক তফাৎ ছিল, এখন আর নেই। ডিসিরা যারা এখানে এসেছেন সবার জন্ম বাংলাদেশে। আগে যেমন পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তান বিভাজন করা হতো, সেটা এখন আর নেই। সামরিক বাহিনীর এবং জনপ্রশাসনের সবাই বাংলাদেশি। এজন্য সৌহার্দ্য বেড়েছে। তারাও কাছাকাছি আসতে চায়, আমরাও আরও কাছাকাছি যেতে চাই।
মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলাপ্রশাসক সম্মেলন ২০২৪ এর তৃতীয় দিন সকালে অধিবেশন শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা।
মিয়ানমার প্রসঙ্গে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, মিয়ানমার পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি, সব সময় যেমনটা থাকি। আমরা আগ্রাসন চাই, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, আমরা আগ্রাসী হতে চাই না কোথাও। ওখানে সিভিল প্রশাসন কাজ করছে, বিজিবি কাজ করছে। সেনাবাহিনী এখনও কাজে নামেনি, কারণ ওখানে যুদ্ধ লাগেনি এখনও।
সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এটাকে কিলিং বলা যাবে না। এটা তো পরিকল্পিত কিছু নয়, চোরাকারবারীরা অনেক দুর্ধর্ষ হয়, ফলে নিরুপায় হয়ে বিএসএফ অনেক সময় গুলি করে। এসব ঘটনায় ওদের যেমন দোষ আছে আমাদেরও দোষ আছে।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, এবারের জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে, আমার জীবনে এত সুষ্ঠু নির্বাচন আমি আর দেখিনি। সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করেছে সেনাবাহিনী।
জেলা প্রশাসকদের দিক থেকে জরুরি প্রয়োজনের সময় সামরিক হেলিকপ্টার ব্যবহারের সুযোগ বাড়ানো, সীমান্ত এলাকায় পাশের দেশ থেকে ইলিশ মাছ ধরে নিয়ে যাওয়া ঠেকানোসহ বেশ কিছু ছোটখাট প্রস্তাব এসেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা।