দেশবার্তা

মধুখালীতে নিহত দুই সহোদরের বাড়িতে বিএনপির তদন্ত কমিটি

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে আগুন দেওয়ার অভিযোগে গণপিটুনিতে নিহত দুই সহোদরের বাড়িতে গেলেন বিএনপি নেতারা। বিএনপির প্রতিনিধি দল ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা এবং আর্থিক সহায়তা দেন। এ সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিতকরণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।

আজ বুধবার বেলা ১২ টায় মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের চোপেরঘাট এলাকায় নিহতদের বাড়িতে যান বিএনপির তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

সেখানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, ‘এ রকম ন্যক্কারজনক ঘটনায় খবর পাওয়া মাত্রই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করা হয়। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। তাঁর নেতৃত্বে আমরা আজ মধুখালীতে এসেছি। এ রকম ঘটনার বিচার দাবি করি।’

নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দেশ। এ দেশের অধিবাসীদের ধর্মীয় বিশ্বাসে বৈচিত্র্য থাকলেও আবহমানকাল থেকেই নিজেদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান। এখানে কোনো বিভেদ সৃষ্টি করা যাবে না।’

এ সময় বিএনপি নেতারা নিহতের বাবা–মায়ের সঙ্গে কথা বলেন ও সমবেদনা জানান। তাঁদের হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রামে এখানে আসিনি। ডুমাইনে শ্রমিকদের ওপর যে পাশবিক কায়দায় নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয় এ রকম ঘটনার যেন বাংলাদেশে আর জন্ম না হয়। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দিতে হবে।’ নিহতের পরিবারের যেকোনো আইনি সহায়তায় বিএনপি পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আরও ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বিজন কান্তি সরকার, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ধর্মবিষয়ক সহ-সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, আনিচুর রহমান তালুকদারসহ ফরিদপুর জেলা ও মধুখালী উপজেলা বিএনপির নেতা–কর্মী।